চার মাসে বেড়েছে সেবার মান ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পরিচালকের হস্তক্ষেপে শূন্যের কোঠায় দুর্নীতি অনিয়ম
News Update: 02-Nov-2016
বিশেষ প্রতিনিধি
ময়মনসিংহ বিভাগ অঞ্চলের অসহায় মানুষের স্বাস্থ্য সেবার শেষ ভরসাস্থল ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (এমএমসিএইচ)। ১৯৬১ সালে প্রতিষ্ঠিত এই হাসপাতালটি গরীব দুখী মানুষের স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের লক্ষ্য নিয়ে যাত্রা শুরু করলেও বিগত কয়েক বছর যাবৎ প্রতিষ্ঠানটি দালাল নির্ভর হয়ে পড়েছিলো । আর ঐ দালাল চক্রের তালিকায় ছিলো বিভিন্ন শ্রেণী পেশা জীবিরাও । ঝাড়–দার থেকে কোটি কোটি টাকার টেন্ডারের কাজ, হাসপাতালের প্রশাসনিক কাজ, পরীক্ষা-নিরীক্ষা, চাকুরী, খাদ্য ও পথ্য বিভাগের পন্য সরবারাহ থেকে রোগী দেখা ও বহন করা পর্যন্ত প্রায় সব কাজই ‘দেখভাল’ করেছে ভয়ঙ্কর এই সব দালাল চক্র। আর এসব দালালদের অতি যতেœ লালন পালন করতো একটি সিন্ডিকেট ।
ময়মনসিংহ বিভাগবাসীকে এই চক্রের বেড়াজাল থেকে মাত্র ৪ মাসে মুক্ত করে রোগী এবং ভূক্তভোগীদের চিকিৎসাসেবার মান উন্নীত করে এক বিড়ল দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে সক্ষম হয়েছেন পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল নাসির উদ্দিন আহমেদ । উনার যোগ্য এবং সাহসী কর্মতৎপরতায় প্রাণ ফিরে পেয়েছে এএমসিএইচ । ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বেড়েছে সেবার মান । উপকৃত হচ্ছেন রোগী ।ইতিপূর্বে জনসাধারণের অভিযোগ ছিলো হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দুর্নীতি অনিয়মের শিকার হয়ে রোগী আরও চরম রোগী এবং হাসপাতালে সেবা নিতে আসা এসব রোগীর সাথে আসা সুস্থ স্বজনরাও মানুষিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়তেন। । দালাল ভাইরাসে আক্রান্ত প্রতিষ্ঠানটির সংশ্লিস্ট দুর্নীতিবাজরা রোগীদের সেবার চেয়ে নিজের আখের গোছাতে ব্যস্ত থাকতেন। তাদের অনিয়মের কারনে দালালরাও ছিলেন বেশ আরাম আয়েশে। ফলে এমএমসিএইচ পরিনত হয়েছিলো একটি দুর্নীতির আখড়ায়।
পোয়া বারো দালালচক্র কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি করেও ছিলেন ভাবসাবে ডোন্ট কেয়ার।
অদৃশ্য শক্তির আশির্বাদপুষ্ট দালালদের ভয়ঙ্কর থাবার কারনে হাসপাতালটির সেবার মান এসে দাঁড়িয়েছিলো তলানিতে।
এই প্রেক্ষাপটে ময়মনসিংহ বিভাগবাসীর সর্ববৃহৎ স্বাস্থ্য সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান এমএমসিএইচ আর্শিবাদ হয়ে মাত্র ৪ মাস আগে যোগ দেন পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল নাসির উদ্দিন আহমেদ । নতুন এই পরিচালকের অভিজ্ঞতা ও দুর্নীতি বিরোধী কর্মকান্ডে শূণ্যের কোঠায় নেমে এসেছে মচিমহায় দূর্নীতির ঘোড়ার দৌড় ।
এদিকে নতুন পরিচালকের দুর্নীতি বিরোধী কর্মকান্ডে অবিচল থাকার পরেও , স্বগর্বে সার্টিফিকেট বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছেন ডাক্তার সাইফুল ইসলাম । তার বিরুদ্ধ অভিযোগ , রোগী পক্ষের নিকট থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে মনগড়া সার্টিফিকেট দেন ।
হাসপাতালের পরিচালক জানান, জণসাধারণের সর্বোচ্চ সেবা দিতে চাই ।দুনীতিবাজদের ছাড় দেয়া হবে না । তাদের চিহ্নিত করে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে । এক্ষেত্রে সকলকে সহযোগীতায় এগিয়ে আসতে হবে ।