Mymensingh Medical College & Hospital

Mymensingh Medical College & Hospital.

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তথ্যাদি।

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তথ্যাদি।

10-Oct-2020

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল টি ১৯৬২ ইং সালে ৮৩ একর জমির মধ্যে প্রতিষ্ঠিত হয়। হাসপাতাল সৃষ্টির শুরু থেকেই ৩০০ শয্যা নিয়ে যাত্রা শুরু হয়। তখন প্রতিনিয়তই ৮০০ হতে ১০০০ রোগী ভর্তি অবস্থায় চিকিৎসা গ্রহন করতেন। তখন মুল ইউনিট ছিল ১০টি। তৎকালীন সময়ে চিকিৎসা সরঞ্জামাদি অভাবে চিকিৎসার পুর্নাঙ্গ রুপ লাভ করতে পারেনি। বর্তমানে এই হাসপাতালটি টার্সিয়ারী লেভেল ও একাডেমিক হাসপাতাল। নবগঠিত ময়মনসিংহ বিভাগ সহ আশেপাশে বিভিন্ন জেলার প্রায় আড়াই কোটি জনগনের সরকারী বিশেষজ্ঞ চিকিৎসার একমাত্র ভরসাস্থল এই হাসপাতাল। ২০১০ সালে ৮ তলা বিশিষ্ট নতুন ভবন স্থাপনের মাধ্যমে ২০১৩ ইং সনে জানুয়ারী মাসে বর্তমান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক নতুন হাসপাতাল ভবন উদ্বোধনের মাধ্যমে নতুন হাসপাতাল ভবনটিতে চিকিৎসাসেবা সম্প্রসারিত করা হয়। এই হাসপাতালটি ১০০০ শয্যায় ‍উন্নীত হওয়ার ৩৩টি বিভাগ/ওয়ার্ডে প্রতিদিন গড়ে ৩০০০ হতে ৩৫০০ রোগী চিকিৎসাসেবা পাচ্ছে এবং বহির্বিভাগে বর্তমানে ৩০০০ হতে ৪০০০ রোগী চিকিৎসা গ্রহন করে থকেন। সধীজন আমি ১.১১.২০১৫ ইং তারিখ পরিচালক হিসেবে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যোগদান করার পর থেকে রোগীদের সুষ্ঠ চিকিৎসার সেবার ক্ষেত্রে নিম্নে বর্ণিত সমস্যাগুলি সমাধান করতে সক্ষম হয়েছি।


১।  হাসপাতাল ওয়ার্ড/ইউনিট এবং বহরাঙ্গন পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার অভিযান শুরু করে তা শতভাগ সফল হই।

২।  হাসপাতালে কর্মরত চিচিৎসক, নার্স, অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীগনকে ডিউটি কালীন সময়ে পরিচয়পত্র বহন ও ড্রেসকোড 

      অনুযায়ী এপ্রোন ও নির্ধারিত পোষাক পরিধান বাধ্যতামুলক করা হয়েছে।

৩।  হাসপাতালের নিরাপত্তার স্বার্থে সকল ওয়ার্ড/বিভাগে এবং অতিগুরুত্বপূর্ন স্থানে মোট ৯৬টি সিসি টিভি ক্যামোর স্থাপন করা হয়েছে।

৪।  হাসপাতালে বিভিন্ন ঔষধ কোম্পানীর মেডিকেল রিপ্রেজেন্টেটিভদের অফিস সময়ে হাসপাতালে প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে।

৫।  রোগীদের খাবার মান পূর্বের তুলনায় শতভাগ খাবার উপযোগী করতে সক্ষম হয়েছি।

৬।  অত্র হাসপাতালে রোগীদের এম আর আই, সিটিস্কেন, ইকোকার্ডিওগ্রাম, বিভিন্ন প্রকার  এক্স-রে যাবতীয় প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষার 

      ব্যবস্থা করতে পেরেছি। ইতি মধ্যেই প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষা-নিরিক্ষার জন্য নাইট শিফট চালু করা হয়েছে।

৭।  হাসপাতাল ঔষধ ভান্ডার হতে শতভাগ সরকারী সরবরাহকৃত ঔষধ রোগীদেরকে প্রদান করা হচ্ছে।

৮।  অনেক চিকিৎসা যন্ত্রপাতি ক্রয় এবং সরবরাহ করা হয়েছে।

৯।  হাসপাতালের অভ্যন্তরে মোট ৩৩টি ওয়ার্ডে ব্যাক্তি নিরাপত্তার জন্য স্থানীয় ব্যবস্থাপনায় ৬৫ জন বিশেষ নিরাপত্তা সিকিউরিটি গার্ড

      নিয়োজিত করা হয়েছে।

১০।  ব্যক্তি এবং বস্তুর নিরাপত্তার জন্য বেশ কিছুদিন পূর্বে ৩৩ লক্ষ টাকা ব্যয়ে হাসপাতালের সর্বত্র এলইডি লাইট স্থাপন করা হয়েছে।

১১। আপনার কোন সমস্যা অভিযোগ বা পরামর্শ থাকলে হাসপাতালের উন্নতির স্বার্থে আমাদের কন্টাক্ট পেইজে ফিডব্যাক ফরমে

      সাবমিট করবেন। অথবা আমাদের ফেইজবুক পেইজে আপনার সমস্যা এবং অভিযোগ পাঠাতে পারেন এবং আমাদের প্রশাসনিক 

      ভবনের সামনে অভিযোগ বক্সে রেখে যেতে পারেন। আমরা আপনার অভিযোগ ও পরামর্শ এর সমাধান ১ সপ্তাহর মধ্যে পাঠিয়ে 

      দেব।